শীত মানেই চারিদিকে ঠান্ডা আর কুয়াশার ছড়াছড়ি। শীতকালে ঠান্ডার কারণে আমরা নানান রকমের অসুখ যেমন: জ্বর,সর্দি,কাশি ছাড়াও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগে থাকি। এর ফলে শীতে সুস্থ থাকতে এবং রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি? ঔষধ ছাড়াও এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাদ্ধমে এসব রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। তাই আজ আমরা এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জানবো যা খাবার তালিকায় রাখলে খুব সহজেই ঠাণ্ডাজনিত রোগগুলো প্রতিরোধ করতে পারি।
শীতে সুস্থ থাকতে এবং শীতকালে ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে লেবু জাতীয় ফল যেমন:লেবু,কমলা,আঙ্গুর,মাল্টা ইত্যাদি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা এসব ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে এবং ঠান্ডা নিরাময় করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য এসব ফল খেতে হবে।
বিটা ক্যারোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে যা আমাদেরকে ঠান্ডাজনিত রোগের ভাইরাস থেকে দূরে রাখবে। এ ক্ষেত্রে আমরা লাল ‘ক্যাপ্সিকাম’ ও পালং শাক নির্ধারণ করতে পারি। কেননা লাল ‘ক্যাপ্সিকাম’ ও পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন। তাই নিয়মিত এসব খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
আমরা নিয়মিত কিছু খাবার খাই কিন্তু তার গুনাগুন সম্পর্কে অবগত নই। এমন দুইটি খাবার হচ্ছে-অদা ও রসুন। এতদিন আমরা হয়তো জানতাম যে খাবারের স্বাদ বাড়াতে অদা ও রসুন প্রয়োজন হয়। কিন্তু আজ আমরা জানবো অদা ও রসুনের ঔষধি কিছু গুনাগুন- আদাতে রয়েছে ‘জিঞ্জারেল’ এবং ‘শাওগেল’ নামক বিশেষ উপাদান যা আমাদের শরীরে থাকা ‘রাইনোভাইরাস’ নষ্ট করে থাকে এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে আমাদের সুস্থ রাখে। অপরদিকে রসুনে রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ উপাদান ‘অ্যালকাইলিন’ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এছাড়াও হজম ক্রিয়া মজবুত করতে ও রক্তচাপ কমাতে রসুন অনেক ভূমিকা রাখে।
আমাদেরকে এমন কিছু খাবার নির্ধারণ করতে হবে যার মধ্যে রয়েছে একাধিক ভিটামিন। তাই আমরা ব্রকলি ও দইকে এমন খাবার হিসেবে বেঁচে নিতে পারি।কারণ- ব্রকলি ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সমৃদ্ধ এতে রয়েছে ভিটামি সি,ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক ভূমিকা পালন করে। আবার দই এমন একটি খাবার যা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং এতে রয়েছে উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের শরীরে ঠাণ্ডাজনিত রোগের ভাইরাস নষ্ট করে থাকে। পরিশেষে ঠান্ডায় সুস্থ থাকতে নির্ধারিত খাবার গুলো গ্রহণ করুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যদেরকেও সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।