দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছেন! জেনে নিন শীতকালে ওজন নিয়ন্ত্রনের উপায় বিশেষ করে শীতের আরামদায়ক পরিবেশ আর বেশি স্বাদযুক্ত খাবার বাড়িয়ে দিচ্ছে আপনার দেহের ওজন। শীতকালে সাধারণত ঠান্ডার কারণে আমরা ঘর থেকে কম বের হই ঘরে বসেই কেটে যায় অধিক সময়! যা আপনাকে করে তুলছে অলস আর আপনি হয়ে উঠছেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি স্বাস্থবান। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কোনো কিছুই ভালো নয়। তাই কে না চায় নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে? তবে আসুন জেনে নেয়া যাক সহজ কিছু উপায় যা আপনার দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করবে-
শীতকালে ওজন নিয়ন্ত্রনের স্বাস্থ্য উপযুগি ও পুষ্টিকর খাবার:-
স্বাদের দিক থেকে কেউই যেন ছাড় দিতে চায়না। খাবার যেটাই হোকনা কেন মুখের স্বাদটাকেই আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার। তাই খাবারে স্বাদ না খুঁজে পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য নিজের স্বাস্থ্যকে স্বাভাবিক রাখতে চাইলে খাবারের প্রতি হয়ে উঠুন অধিক যত্নশীল। প্রতিদিন খাবার মেনুতে রাখতে হবে শাক-সবজি ও অন্যান্ন পুষ্টিকর খাবার।অধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।বেশি বেশি পরিমানে পানি পান করুন কেননা পানি শুধু আমাদের পিপাসাই মেটায়না বরং দেহথেকে বিষাক্ত উপাদানও দূর করে থাকে।যে সব খাবার আপনার হজমে সাহায্য করে এমন খাবার সব সময় নির্বাচন করুন। প্যাকেট জাত খাবার যেমন-চিপস ও ডাল ভাজাসহ অন্যান্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শীতকালে যেহেতু ফলমূল বেশি পরিমানে পাওয়া যায় তাই বেশি করে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যে সব খাবার আপনাকে অধিক মোটা হতে সহায়তা করে এমন খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা:-
শীতকাল এমন একটি সময় যা আমাদের শরীর ও মনকে অলস করে তোলে। শরীরচর্চা কি জিনিস তা আমরা ভুলেই যাই!যার ফলে আমরা হয়ে উঠি স্বাভাবিকের থেকে বেশি স্বাস্থবান। তাই নিজেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। অলসতাকে কোনো ভাবেই প্রস্রয় দেয়া যাবেনা কোননা কোনো কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে হবে। কাজ না থাকলে রুমের মধ্যে হাটা হাটি করুন। নিয়মিত ঘাম ঝরাতে হবে ফলে আপনার দেহে কোনো প্রকার মেদ বা চর্বি জমবেনা।
মানসিক পরিবর্তন:-
আমরা অনেকেই আছি সবসময় স্বাদযুক্ত খাবারকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। পুষ্টিকর খাবার কি জিনিস তা বুঝিইনা! এমন মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। বাড়তি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। বিশেষ করে শীতকালে নিজের মনকে অলস হতে দেয়া যাবেনা।