এই যান্ত্রিক জীবনে আমাদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখার সময় খুবিই কম। শরীর সুস্থ রাখতে আমরা আমাদের শরীরের প্রতি অতোটা মনোযোগ দিতে পারি না। অথচ শরীরের একটু অসুবিধায় আমরা হয়ে পড়ি অসহায়। তাই নিয়মিত কিছু ছোট খাটো বিষয় যা আমরা হরহামেশাই করে থাকি সেদিকে একটু খেয়াল রাখলে, আমাদের শরীরের প্রতি যেমন যত্নবান হতে পারি। আর শরীরকে রাখতে পারি পরিপাটি।
Contents
শরীর সুস্থ রাখার কিছু সহজ কৌশল জেনে নিন
১।হাটার মাধ্যমে ব্যায়াম
এই কাজটি আমরা আমরা নিয়মিত করে থাকি,তবে শরীরের এই হাটা এতোটা কাজে লাগে না। কারণ আমরা যখন হাটি তখন আমরা নানা রকম ও ধরনের চিন্তা ভাবনা নিয়ে হাটি, যায় ফলে শরীর রিলাক্স হতে পারে না। শরীরের রিলাক্স ভাব আনুন ও চিন্তা ভাবনা ঝেড়ে ফেলে ভোরে হাটুন নিয়মিত হাটার অভ্যাস ই এই দেখবেন শরীর ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করবে।প্রতিদিন অন্যত আধা ঘণ্টা হাটতে হবে। এতে আপনার শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকবে। তাছাড়া নিয়মিত হাটলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ও শরীর সুস্থ থাকবে।
২।সাতার কাটা উত্তম ব্যায়াম
সাতার এমন একটি ব্যায়াম যা কি আপনার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাছে লাগবে। শরীরের যে কোন ব্যাথা বা দূবলতার জন্য সাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। মাসে অন্তত দুই বার এক ঘণ্টা করে সাতার কাটুন, আপনার পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়ে যাবে।
৩।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ইমানের অঙ্গ। আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে সবাই পছন্দ করি। তবে ব্যস্ততার জন্য আমাদের অনেক সময় এই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা সম্ভব হয় না। চেষ্টা করুন পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করার কারন আপনার শরীর যেমন ভালো রাখতে সাহায্য করে তেমনি মনমানসিকতা ফ্রেস রাখবে।
৪।প্রতক্ষ্য ও পরক্ষ ধূমপান ত্যাগ করুন
আমরা অনেকেই ধূমপান করে থাকি। কেউ হয়তো প্রতক্ষ্য,আর কেউ বা পরক্ষ ভাবে না চাইতেও এই ক্ষতির শিকার হয়ে পড়ি। যারা প্রতক্ষ্য ধূমপান করেন, তারা আজই এই ধূমপান মরণ কামড় দেয়ার আগে এটি ত্যাগ করুন।আর যারা ধূমপান করেন না তারা মুখে ম্যাস্ক ব্যবহার করুন। এতে একদিকে যেমন পরক্ষ ভাবে ধূমপানে শিকার হবেন না অন্য দিকে ম্যাস্ক ব্যবহার করার কারণে ধুলাবালি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারবে না।
৫।শরীর সুস্থ রাখতে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমান
আমরা যারা শহরের থাকি তারা অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাই। যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। উচিত হলো ৯-১০ মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া। ডাক্তাররা বলে থাকেন ৯-১০ মধ্যে যারা ঘুমিয়ে পড়ে তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আমরা অনেকেই দিনে ঘুমিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকি। দিনে না ঘুমিয়ে শুয়ে এক থেকে ডের ঘন্টা বিশ্রাম নিন ।আর রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৬।সময়মতো আহার করুন
ব্যবসা বা চাকুরী কাছে আমরা সময়মতো আহার করতে পারি না। অথচ যে খাবার আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে, সেই খাবার সময়মতো না খাওয়ার কারনে আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।খাবার না খেলে আমাদের শরীর ভেঙে পড়ে। আর অসময়ে খাবার খেলে তা হজম প্রনালী তে ব্যাঘাত ঘটায় যা শরীরের জন মমারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই সময়ের খাবার সঠিক সময়ে গ্রহণ করুন।
৭।সবুজ শাক সবজি ও পাকা ফল বেশী খান
আমাদের দেহে তিন ভাগেই মিনারের। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের জন্য সবুজ শাক সবজি বিকল্প কিছু নেই। আর পাকা ফল ফলাদি আমাদের দেহের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। তাই এক বারে বেশি করে ফল না খেয়ে অল্প করে বারবার বা প্রতিদিন একটি করে হলেও ফল খান। বিশেষ করে হলুদ পাকা ফল খান।
৮।পানি খান প্রচুর পরিমাণে
আমাদের শরীরের তিন ভাগেই পানি। আমাদের প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা দরকার। সু- স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। পানি বেশী পান করলে আপনার হজম শক্তি বাড়ে। তাছাড়া পানি বেশী পান করলে রক্ত পরিস্কার হয় এবং চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়ে।