কালোজিরার রয়েছে বিশেষ কিছু উপকারীতা। আমাদের প্রত্যেকের বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার হয় এই কালোজিরা। এটি খাবারে খাবারের মধ্যে যেমন আনে সুঘ্রাণ তেমনি খাবার কে করে তোলে সুস্বাদু।
তাছাড়া হাদিসে আছে কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। হয়তো সামনে এমন একদিন আসবে যেদিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই কালোজিরা দিয়ে জটিল ও কঠিন সকল রোগের ওষুধ তৈরী হবে।
Contents
কালোজিরা এবং এর বর্তমান কিছু উপকারীতা
কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn, তবে আমাদের দেশে এটি কালোজিরা নামেই বেশি পরিচিত। এছাড়াও কালোজিরা আরো কিছু নাম শুনতে পাওয়া যায়। যেমন:- কালঞ্জি, কালো কেওড়া, রোমান ধনে প্রভৃতি। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন এই মূল্যবান মহা ঔষধি বীজের রয়েছে অপরিসীম উপকারিতা।
নিয়মিত এটি খেলে শরীরের বাহিরে ও অভ্যন্তরের কিছু বিশেষ অঙ্গের অনেক উপকার পাওয়া যায়।
তবে আসুন জেনে নেই কালোজিরার কিছু উপকারীতা ও গুনাগুন
১। যে সব মেয়ে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এটি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরার পেষ্ট বানিয়ে ব্রনে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন, দেখবেন ব্রন উধাও হয়ে গেছে। আর নিয়মিত এই পেষ্ট ব্যবহার করলে ত্বকের যেমন ময়লা পরিষ্কার করবে, তেমনি ব্রন আর আপনার মুখে উঠবে না।
২। যাদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক তারা এটি গুড়ো করে তিলের তেলের সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবেন।
৩। কালোজিরায় রয়েছে কোলেস্টের কমানোর ক্ষমতা। বিশেষ করে শরীরর জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তচাপ রয়েছে তারা কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরা রক্তচাপ কমিয়ে, রক্ত সঞ্চালন সাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪। যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে তারা দিনে দুই বার অল্প পরিমান কালোজিরা খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কালোজিরা দিনে দুইবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তের সুগার কমায়।
৫। যাদের চুল পড়ে ও চুল বাড়তে মোটেও চায়না তারা কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল চুলের ফলিক ও কোষ সতেজ করে তোলে যায় ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই তেল চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।
৬। এটি হৃদরোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। “Medical Science Monitor journal” প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয় যাদের হৃদরোগ রয়েছে তার প্রতিদিন সকালে কালোজিরা খেলে এই রোগ আর থাকে না। এছাড়া শিশুদের হৃদপিণ্ডের অ্যাটাকে সংঙ্কা কমায়। যে সকল শিশু বা প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের খিঁচুনি রোগ রয়েছে তাদের এটি খেলে উপকার হয়। কালোজিরাতে খিঁচুনি বন্ধ করার উপাদান রয়েছে।
৭। যারা ত্বকে বয়সে ছাপ ফেলতে চান না তাদের জন্য কালোজিরা বিশেষ উপকারীতা। কালোজিরায় রয়েছে লিনোলেনিক ও লিনোলেইক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড। যা তীব্র রোদের প্রখরতায় কালো দাগ মেশাতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা রাত জাগার কারনে চোখের নিচে দাগ পড়েছে তা সারাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের লাবণ্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে চেহারায় আনে উজ্জ্বল ভাব ।
কালোজিরা ও মধুর পেষ্ট বানিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
এছাড়াও কালোজিরায় আরো যেসব উপকারীতা রয়েছে যেমন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে, অ্যাজমা, গলাব্যাথা, স্থূলতা, অপারেশনের দাগ, ক্যান্সার,
জ্বর,কাশি,সর্দি,ব্যাথা, হাইপারটেনশন, শ্বাসপ্রশ্বাস সমস্যা, ব্রেইন টনিক, এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যে সব রোগ হয়ে থাকে নিরাময় করতে সক্ষম।
তাই নিয়মিত নিয়ম করে কালোজিরা খান।